বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংগৃহীত ছবি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরটি দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি হয়নি, তবে সোমবার আগের বুকিং করা দুটি ট্রাক আলু আমদানি করেছে। এসব আলু প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
গত রোববার ১৪টি ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ৭২টি ট্রাকে দুই হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছিল। এর পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার রপ্তানির স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় রপ্তানিকারক জানান, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়তে শুরু করায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে অন্য রাজ্য থেকে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি অব্যাহত রাখা যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘যেসব গাড়ি ইতিমধ্যে লোডিং অবস্থায় রয়েছে, সেগুলোর স্লট বুকিং না হলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বো।’’হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে অনলাইনে স্লট বুকিং সিস্টেম চালু করেছিল, কিন্তু হঠাৎ রোববার থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে স্লট বুকিং করতে পারছি না এবং আমদানি শঙ্কার মুখে রয়েছে।’’ তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে যদি স্লট বুকিং না খুলে দেওয়া হয়।
ভারতীয় রপ্তানিকারক রাম কৃষ্ণ দাস জানান, ‘‘আমি আলু রপ্তানি করি এবং রবিবার আলু রপ্তানি করছিলাম, তবে দুপুরে শুনতে পেলাম যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলু ও পেঁয়াজের স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে। এই কারণে আমরা বড় সমস্যায় পড়েছি। বিশেষত, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আলু বোঝাই ট্রাকগুলো এখন রাস্তায় রয়েছে। যদি সেগুলি আটকে যায়, তাহলে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাবে এবং আমাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’’
পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানায়, রাজ্যে উৎপাদিত আলু ও পেঁয়াজের ভিনদেশে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আর সেই কারণে স্লট বুকিং স্থগিত রাখা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment