অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে ৩৪৩ জন নতুন ব্যক্তিসহ মোট ১,৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে যে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অধীনে ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের অধীনে আরও ১,১৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শটগান কার্তুজ, ৩টি ছুরি, ৩টি তলোয়ার, ১টি কুড়াল, ১০টি ককটেল, ৮টি লাঠি, ৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্টে ১,৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোতে ২৭৪ জন এবং রেঞ্জে ১,০৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতনশীল ফ্যাসিবাদী সরকারের মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেঁপে ওঠে। তারা 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানের ঘোষণা দেয়। এরপর, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে যৌথ বাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে টহল জোরদার করা হয়।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক বলেন, ছাত্র ও জনসাধারণের উপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাঁচজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অপরাধ সম্পর্কে দেশবাসী অবগত।'